ফ্রিল্যান্সব্লগার অনলাইন আয়ের একটি নতুন দিগন্ত-3



ফ্রিল্যান্সব্লগার আসলে একটি নতুন ধারনা। বেশি দিন হয়নি আমি ফ্রিল্যান্স জব শুরু করেছি। টেকটিউনস এর বিভিন্ন ভাইয়ের অনুপ্রেরণায় (বিশেষ করে swordfish ভাই) শুরু করি ফ্রিল্যান্স জব সাথে ব্লগিং। আমি ফ্রিল্যান্সিং এবং ব্লগিংএ নতুন। যদি কোন ভুলত্রুটি হয় ক্ষমা করে দিবেন। আজকে আমি বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে একটি বিষয় বলতে চেষ্টা করব। 


তাহলে শুরু করা যাক অডেস্ক স্কিল টেস্ট দিয়ে। আমি মোটামুটি তিনটি স্কিল টেস্ট দিয়েছি।  
কিন্তু কি জানেন সবগুলো নকল করে পাস করেছি এমনকি দুটি টেস্টে প্রথম ৩০% এর মধ্যে ছিলাম। কিন্তু বাধ সাজল কিছু দিন আগে যখন একটি এক্সাম দিতে যাই তখন। টেস্টটি ছিল এসইও টেস্ট। তো যথারীতি প্রথমে নেটে সার্চ করলাম “Odesk SEO test exam answer” এমন কি পেয়েও গেলাম। তো টেস্ট দেয়া শুরু এবং ২০ মিনিটের মধ্যে টেস্ট দিয়ে ফেললাম। রেসাল্ট কি হল। রেসাল্ট বলল আমি ফেল করলাম। ফেল করার পর আমি বুঝতে পারলাম আসলে এটা আমার ভুল ছিল। এভাবে নকল করা আমার একদমই উচিৎ হয়নি। এখন আসলে আমি এর ভিত্তিতে কিছু আলোচনা করার চেষ্টা করব।

প্রথমত, যেকোন টেস্ট এর জন্য একটা সিলেবাস থাকে তা আমরা কখনো পড়ে দেখিনা। এই জিনিসটা আমরা বাঙালিরা বেশি করি। নিজেকেই প্রশ্ন করুন আসলে কি এটি উচিৎ। কখনোই না, নকল কখনো ভাল জনিস হতে পারে না। যদি আপনি নকল করে পাস করেন ধরা আপনাকে খেতেই হবে। এখন থেকে শপথ নিন (আমিও নিলাম) আর নকল করে পাস করব না। 

দ্বিতীয়ত, যে সিলেবাস থাকে ওটা নিয়ে আমরা পড়ি না। যদি সফলতা পেতে চান/চাই তাহলে পড়ালেখা করতেই হবে। যে সিলেবাস দেয়া থাকে তার উপর ভিত্তি করে ১৫-২০ দিন ভাল করে পড়ালেখা করে স্কিল টেস্ট দেয়া উচিৎ। তাহলে যেমন আপনি অই বিষয়ের উপর অনেক কিছু জানলেন, যেটা আপনাকে সারাজীবন উপকারই করবে। আমি এসইও টেস্টে প্রথমবার ফেল করেছি তাতে কি হয়েছে। এখন আমি এর উপর পড়ালেখা শুরু করে দিয়েছি, দেখবেন আমি এই টেস্টে অনেক ভাল ফলাফল করব তবে নকল করে নয়।   

তৃতীয়ত, আমি সবসময় অল্প সময়ে সফলতা পেতে চাই। সত্যি কথা বলতে সফলতার কোন শর্টকার্ট রাস্তা নেই (যেটা আমি কিছু দিনের অভিজ্ঞতা থেকে বুঝতে পারলাম)। এটা বাস্তব সত্য কথা। এই কথাটি আমার ক্ষেত্রে যেমন সত্য আপনাদের ক্ষেত্রেও তেমনি সত্য। কোন কিছুতে সফলতা পেতে হলে সময় নিয়ে করতে হবে। 

চতুর্থত, কখনোই পড়ালেখা বাদ দিয়ে ব্লগিং বা টাকা ইনকাম জাতীয় কোন কিছু করা যাবে না। এটি করতে হবে পরালেখার ফাকে ফাঁকে ( আমার পড়ালেখা শেষ হয় নি এই জন্যই আমি অনেক কাজ পারা সত্যেও নি না কারন আগে পড়ালেখা)। পড়ালেখা শেষ করুন দেখবেন আরো অনেক বড় কিছু আপনার জন্য অপেক্ষা করতেছে। মনে রাখবেন ফ্রীল্যান্সিং বা ব্লগিং বা টাকা আয় আপনি সারাজীবন করতে পারবেন কিন্তু পড়ালেখার সময়টুকু আর ফিরে পাবেননা। 

পঞ্চমত, এখন আমি একটি টিপস দিতে চেষ্টা করব। যখন একটি কাজ আমি বিড করি তখন অই কাজটি আংশিক বা সম্পূর্ণ কমপ্লিট করে বিড করা ভাল। এই কাজটি করলে আপনি যেমন কাজটি পাওয়ার সম্ভাবনায় থাকলেন তেমনি আপনার পোর্ট ফোলিও বাড়ল। এখন কাজটি না পেলেও কোন ক্ষতি নেই, অন্তত আপনার কিছু অভিজ্ঞতাতো হল। কাজটি পোর্ট ফোলিওতে যোগ করে দিন।  

গুরুত্তপূর্ন, সকল ফ্রীল্যান্সার বা ব্লগারের একটি পার্সোনাল ব্লগ থাকা একান্তই প্রয়োজন। যেমন আমি আর্টিকেল লিখার কাজ করি তাই কাজে বিড করার সময় আমার ব্লগের দুইটি ভাল আর্টিকেলের লিঙ্ক দিয়ে দিলাম এবং তৎক্ষণাৎ দুইটি কাজের জন্য ডাক পেয়ে গেলাম। মনে করুন আপনি এসইও এর কাজ করেন। যদি আপনি বিড করার সময় বলেন “এটা আমার ব্লগ এর লিঙ্ক, এখানে আমি এই কী ওয়ার্ড দিয়ে গুগল এর প্রথম পেজে এসেছি” তাহলে আপনি কাজটি পাওয়ার সম্ভাবনায় থাকলেন (আপনি নতুন হলেও কাজটি পেতে পারেন)। ব্লগ থাকার আর একটি লাভ আছে, যখন আপনার কোন কাজ থাকবে না তখন আপনি নিজের ব্লগের জন্য কাজ করতে পারেন। এতে আপনার লাভই হবে। পার্সোনাল ব্লগ থেকে অনেকে গুগল অ্যাডসেন্স, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ফ্রীল্যান্সিং থেকেও বেশি আয় করে। আজকে আরেকটি বিষয় লিখতে চেয়েছিলাম যেটি হল অডেস্ক কাস্টমার কেয়ার এবং বায়ারের রেটিং নিয়ে কিন্তু বেশি বড় হয়ে যাচ্ছে বলে লিখলাম না। অন্যদিন বিস্তারিত লিখব। তাহলে কাজে নেমে পড়ুন।




Share your views...

0 Respones to "ফ্রিল্যান্সব্লগার অনলাইন আয়ের একটি নতুন দিগন্ত-3"

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

ব্লগ লিখার জন্য স্বাগতম

এই ব্লগের উন্নয়ন এবং সকলকে প্রযুক্তি নিয়ে উৎসাহ দেয়ার জন্য আপনাকে স্বাগতম জানাচ্ছি। সকলকে সাহায্য করার জন্য আপনার কাছ থেকে ভাল লিখা আশা করছি। বাংলায় কন্টেন্ট বাড়াতে হলে লিখার কোন বিকল্প নেই। তাই আপনিও হয়ে উঠতে পারেন এই ব্লগের একজন লেখক। যদি এই ব্লগে লিখতে চান তাহলে sharif.iit.du@gmail.com এই মেইলে একটি চিঠি পাঠান। আমি আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি।

© ২০১২ টেকনোলজি ব্লগ সকল কিছু সংরক্ষিতটেম্পলেটটি ডিজাইন করেছেন ব্লগার শরিফুর রহমান